গোপন কথা
ব্লগে আমি আমার সাধ্যমতে সবকিছু ভাল করে লিখব। ব্লগের পোষ্টগুলো ভাল লাগলে নিয়মিত BROWSE করবেন আর এটাই হবে আসার প্রপ্তি
শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১২
অব্যক্ত ভালবাসা... ভালবাসার গল্প
অব্যক্ত ভালবাসা...
ভালবাসার গল্প
ইউনিভার্সিটিতে আমরা এক সাথে পড়তাম । মেয়েটির নাম মাধবী । আমি মাধবীকে ক্যাম্পাসে মাঝে মাঝেই দেখতাম । সবসময় একা একা থাকতো ও । সবাই আড্ডা দিতো কিন্তু মাধবী চুপচাপ বসে থাকতো । ওর সাথে কেউ খুব বেশি কথাও বলতো না ।
আমি মাধবীকে যখন দেখতাম , তখন ওর একাকীত্ব আমার চোখে পড়েনি । ভাবতাম , পড়াশোনা নিয়ে মেয়েটা অতিমাত্রায় ব্যস্ত । তাই কারো সাথে কথা বলে না হয়তো ।
এবার আমার কথা বলি । আমিও চুপচাপ ছিলাম । তবে আমার বন্ধু ছিলো অনেক । কেনো জানি না , তবে আমি বেশ জনপ্রিয় ছিলাম । একারনেই হয়তো মাধবী আমাকে আগে থেকেই চিনতো । আমার নাম জানতো । যদিও আমি ওর নাম জানতাম না ।
একদিন ক্লাস শেষে আমি হেটে যাচ্ছিলাম । মাধবী আমাকে ডাকলো । আমি বললাম ,
-আমাকে বলছো ?
-তুমি তো শুভ । তাই না ?
-হ্যা । কিছু বলবা ?
-আমার নাম জানতে চাও না ?
আমি একটু অবাক হলাম । যে মেয়ে এতো চুপচাপ , সে এভাবে কথা বলছে ! আমি বললাম ,
-জানতে চাই ।
-আমি মাধবী ।
-Nice to meet you.
মাধবী মিষ্টি করে হাসলো । আমি আবার বললাম ,
-আসলে আমার একটু তাড়া আছে । তুমি কি কিছু বলবা ?
-ওহ । যদি সমস্যা না হয় , তাহলে কি তোমার মোবাইল নাম্বারটা দেয়া যাবে ? আমি তোমার সাথে যোগাযোগ করে নিবো ।
আমি ইতস্তত করে বললাম ,
-নাম্বার দিতে সমস্যা নাই । কিন্তু তুমি কি ইমপরটেন্ট কিছু বলবা ?
মাধবী রহস্য করে একটা হাসি দিলো । বললো ,
-সেটা সময়ই বলে দিবে ।
আমি আর কথা বাড়ায় নি । নাম্বার দিয়ে চলে এসেছিলাম । এরপর প্রায় প্রতিরাতে মাধবী আমাকে ফোন দিতো । অনেকক্ষন কথা বলতো । প্রথম প্রথম ও শুধু প্রশ্ন করতো । আমি উত্তর দিতাম । কিন্তু আস্তে আস্তে খেয়াল করলাম , আমি মাধবীর সাথে গল্প করা শুরু করেছি । ও আমাকে ওর একাকীত্বের কথা বলতো । আমারও ইচ্ছে করতো , ওর পাশে বসে থাকি । ওর দুঃখ গুলো ভুলিয়ে দিই ।
তবে আমি কখনোই মাধবীকে ফোন করতাম না । আমাদের যখন বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেলো , তখন মাধবী প্রায়ই অভিযোগের সুরে বলতো , তুমি কেনো আমাকে কখনো ফোন করো না ?
আমি সুবিধামত প্রশ্নটা এড়িয়ে যেতাম ।
এভাবে আমাদের কথা চলতে লাগলো । আমরা একে অন্যের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে গেলাম । রাতে আমরা মোবাইলে কথা বলতাম । ক্লাস শেষে একসাথে কিছুক্ষন হাটতাম । ক্যানটিনে একসাথে খেতাম ।
মাধবী আমাকে বলতো যে আমিই ওর একমাত্র বন্ধু । আমি যেন কখনো ওকে ছেড়ে না যাই । আমিও মাধবীকে কথা দিয়েছিলাম । ছেড়ে যাবো না ।
আস্তে আস্তে একপর্যায়ে এসে মাধবীর কথাবার্তা শুনে আমি confused হতে শুরু করলাম । আমার মনে বারবার একই প্রশ্ন ঘুরতে লাগলো : মাধবী কি আমাকে ভালোবেসে ফেলেছে ?
একদিন রাতে মাধবী ফোন করতে কিছুক্ষন লেট করলো । ঐ সময়টা আমি নিজের অজান্তেই অস্থির হয়ে গেলাম । খুব চিন্তা হচ্ছিলো । অবশ্য নিজে ফোন করিনি । তবে ফোন করতে খুব ইচ্ছে করছিলো । সেই থেকে আমি নিজেকে নিয়ে confused হয়ে গেলাম । আমি কি মাধবীকে ভালোবেসে ফেলেছি ?
আমার মনে কোথাও একটু অহংকার ছিলো । তাই নিজের confusion দূর করার জন্য শক্ত হলাম । মাধবীর জন্য নিজের দুর্বলতা লুকিয়ে ফেললাম ।
পরদিন মাধবীর সাথে দেখা হলো । আমি ভেতরে ভেতরে কৌতুহলে ফেটে পড়ছিলাম । কেনো ও কাল ফোন করলো না ?
তবে কৌতুহল প্রকাশ করিনি ।
কথার এক পর্যায়ে মাধবী জিজ্ঞেস করলো ,
-কাল রাতে কি কি করেছো ?
আমি আনমনা হওয়ার ভান করলাম । বললাম ,
-আআআআ .. ভুলে গেছি । মনে নাই !
মাধবী মন খারাপ করে বললো ,
-কাল গেস্ট আসছিলো । তাই ফোন করতে পারিনি । তুমি তো অন্তত ফোন করতে পারতা । করো নি কেনো ? আচ্ছা , তুমি কি আমাকে জীবনেও ফোন করবা না ?
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না । কিভাবে এতোটা নিষ্ঠুর হলাম , জানি না । বললাম ,
-ক্লাস শুরু হয়ে যাবে । পরে কথা হবে । এখন ক্লাসে চলো ।
একরাশ অভিমান নিয়ে মাধবী হাটতে শুরু করলো ।
ঐদিন বিকালে আমার খুব খারাপ লাগছিলো । আমি কেনো এমন করলাম ? নিজেকে খুব নিচ মনে হচ্ছিলো । মাধবীকে ফোন করলে আমার কি এমন ক্ষতি হতো ? আমি জানি , মাধবী আমাকে ভালোবাসে । আমিও মাধবীকে ভালোবাসি । তাহলে কেনো এতো লুকোচুরি ? মাধবী মেয়ে , তাই হয়তো মুখ ফুটে কথাটা বলতে পারছে না ।
সিদ্ধান্ত নিলাম , আমি আজ রাতে আমার না বলা ভালোবাসাকে ফোন করবো । তারপর যা বলার , সব বলবো ।
রাত নয়টা । আমি মাধবীর নাম্বারে ফোন করলাম । মোবাইল বন্ধ । অনেক বার ট্রাই করলাম । হলো না ।
মাধবীর নাম্বারে একের পর এক ফোন করলাম । কিন্তু সংযোগ পাওয়া গেলো না । মোবাইল বন্ধ ।
একটু পর খবর পেলাম । মাধবী accident এ মারা গেছে । স্পট ডেড্ ।
এক মুহুর্তে আমার পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গেলো । আমার চোখ তখনো মোবাইল স্ক্রিনের দিকে । মাধবীর নাম্বারে আর কখনো ফোন করা হবে না ।
আমি অনেক দেরি করে ফেলেছি ।
শুন্যতা
রাত ১২ টা ৩০ মিনিট। হঠাৎ এক অনাকাংখিত ফোনের শব্দে মেঘের ঘুম ভেঙ্গে গেল। ফোন রিসিভ করে কোনো কথা না বলায় ওপার থেকে এক ছেলে কন্ঠ ভেসে এল। ছেলেটি বলল, কিরে সাইদ কথা বলিস না কেন? মেঘ আর চুপ থাকতে পারল না। সে বলে উঠল,এত রাতে কেন রং নাম্বারে কল দিয়ে বিরক্ত করছেন? ছেলেটি একটু অবাক হয়ে বলল, এ দেখি মেয়ে কন্ঠ। মেঘ বলে উঠল কেন শুধু শুধু বিরক্ত করছেন? আপনি আসলে কি চান? এতক্ষণে ছেলেটি বুঝতে পারল সে আসলে ভুল নাম্বারে কল দিয়ে ফেলেছে। তখন সে বলল, দুঃখিত আমি আসলে আমার বন্ধু সাইদকে ফোন দিয়েছিলাম কিন্তু কিভাবে যে আপনার ওখানে কল চলে গেল তা বুঝতে পারলাম না। প্লিজ কিছু মনে করবেন না। যাহোক আমি রাজ,খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করি, যদি কিছু মনে না করেন তাহলে কি আপনার পরিচয়টা তা জানতে পারি? মেঘ বলল, ঠিক আছে, আমি মেঘ আর ভাল থাকবেন, বিদায়। পরের দিন রাত দশটার সময় হঠাৎ মেঘের ঐ ছেলেটার কথা মনে পরল। সে কোনকিছু না ভেবেই রাজকে কল দিয়ে ফেলল। রাজ মেঘের নাম্বারটা সেভ করে রাখায় মেঘকে খুব সহজেই চিনতে পারল। সে আর বিলম্ব না করে ফোন রিসিভ করল। এভাবেই তাদের কথা চলতে থাকল। দুজনের মাঝে বন্ধুত্ব গড়ে উঠল। দুজনেই দুজনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পরল। ফোনে কথা বলার মাধ্যমেই তাদের মধ্যে এক ধরনের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এটাই বোধই ভালবাসা, একেই বলা হয় প্রেম। এভাবেই চলল কিছুদিন। তারপর দুজনেই অনেক ভেবে চিনতে সিদ্ধান্ত নিল যে তাদের প্রথম সাক্ষাৎ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারী, “ভালবাসা দিবসে”। যেই কথা সেই কাজ। দুজনেই অপেক্ষা করতে থাকল সেই দিনটির জন্য। অবশেষে তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আসল সেই দিন। মেঘ থাকত ময়মনসিংহে। পড়াশুনা করতো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে। তাই রাজ সুদূর খুলনা থেকে ময়মনসিংহ এর উদ্দেশ্যে রওনা দিল। দীর্ঘ ৮ঘণ্টা যাত্রার পর রাজ ময়মনসিংহে পৌঁছল। মেঘের কথা মত রাজ ময়মনসিংহ পার্কে চলে গেল এবং সেখানেই রাজ ও মেঘের অপেক্ষার অবসান ঘটল। তারা সেখানে ২ঘন্টা একসাথে ছিল। তারপর রাজ মেঘের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আবার খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করল। কিন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাস পথে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় রাজের ব্যাগ,মোবাইল কোথায় পড়েছিল এইটুকু জ্ঞানও ছিল না। মুমূর্ষু অবস্থাই খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়। যতক্ষণের জন্য জ্ঞান ফিরেছিল রাজ শুধু একটি নামই বলেছিল। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে তার মায়ের হাত ধরে বলেছিল মা আমি মেঘকে একটি মুহূর্তের জন্য দেখতে চাই। কিন্ত তার সে আশা পূরণ হল না। রাতে মেঘ রাজকে ফোন দেয় কিন্ত রাজের ফোন বন্ধ পায়। তার মনে অজানা এক আশংকা হতে থাকে। রাজ কি তাকে পছন্দ করে নি, নাকি কোনো বিপদ হল ওর। এভাবে মেঘ প্রায় প্রতিরাতই রাজকে ফোন দেয়। কিন্ত কোন সাড়া মিলল না রাজের। এভাবেই মেঘের রাজহীন নিঃসঙ্গ জীবন কাটতে থাকে। আর ওর মনে জমা হতে থাকে প্রচণ্ড চাপা অভিমান। কেটে যায় পুরো একটি বছর। আবার ফিরে আসে সেই ১৪ ফেব্রুয়ারী। রাজকে খুব মনে পড়তে থাকে মেঘের। কি মনে করে যেন মেঘ হঠাৎ রাজের সেই নাম্বারে ফোন দেয়। কি আশ্চর্য আজ হঠাৎ রাজের সেই নাম্বারে রিং ঢুকল। ফোন রিসিভ করার সাথে সাথেই মেঘ রেগে আগুন হয়ে প্রচণ্ড বকা শুরু করল রাজকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু যখন মেঘ বকা দিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ল তখন ওপার থেকে ভেসে আসল, আপনি ভুল করছেন আমি রাজ নই, রাজের বন্ধু সাইদ। তখন মেঘ বলে উঠল, এই সিম তো রাজের কাছে থাকার কথা,আপনার কাছে কিভাবে এল? তখন রাজের বন্ধু সাইদ মেঘকে শোনাল সেই হৃদয়বিদারক ঘটনা। মেঘ আর নিজেকে ধরে রাখতে পারল না। ফোনের লাইনটা কেটে দিল। সে প্রচন্ড কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। রাজের উপর মেঘের চাপা অভিমানগুলো নিমেষেই শেষ হয়ে গেল। এভাবেই মেঘ নামের মেয়েটির জীবন চলতে লাগল শুধুই শূন্যতার মধ্য দিয়ে........
শুধুই তুমি
রোজ দাঁড়িয়ে থাকে মেয়েটি। জানালার একপাশে আলতো মাথা ছুঁইয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে যেন। পিদিম কখনও চোখের পলক ফেলতে দেখেনি ওকে। ড্রাইভার রাজা মিয়া এতদিনে বুঝে গেছে মেয়েটিকে পিদিমের মনে ধরেছে। জানালার ধারে গাড়ি আসামাত্র ব্রেক কষায়। গাড়ি থামানোর শব্দ পেয়ে মেয়েটিও মুচকি হাসে। পিদিমের বুকটা ভরে গেলেও একটা দীর্ঘশ্বাস বেরোয় সেখান থেকে।
বুঝতে পারে মেয়েটি তাকে অপছন্দ করেনা। অপছন্দ করলে এভাবে হাসতো না কিংবা রোজ জানালার ধারে দাঁড়াতো না। কিন্তু পিদিম কখনও আগ বাড়িয়ে কারও ভালবাসা গ্রহণ করবে না। মেয়েটি যদি কোনদিন মিষ্টি হেসে, লাজুক চোখে জানালার গন্ডি পেরিয়ে ওর দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে ভিন্ন কথা।
প্রমি রূপকথার রাজকন্যার মত সুন্দর হাসি যার। রোজ সকালে গোসল সেরে জানালার ধারে এসে দাঁড়ায়। বিশুদ্ধ হাওয়া বুক ভরে নিতে ইচ্ছে করে ওর। অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে ব্যাপারটা। আজকাল একটা বিষয় খেয়াল করছে প্রমি । নির্দিষ্ট একটা সময়ে প্রতিদিন একটা গাড়ি তাদের জানালার ধারে এসে থামছে। কল্পনায় গাড়িতে বসা সুন্দর মনের ভদ্রোচিত কোন তরুণের ছবি আঁকে সে। ভাবে হয়তো তরুণটি অপলক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। আহা বেচারা বড্ডো ভুল করছে। ছেলেটির বোকামী দেখে মুচকি হাসে প্রমি। কেন যেন গাড়ি থামার শব্দ শুনলেই হাসি পায় তার। দৃষ্টিহীনদের অর্ন্তদৃষ্টি নাকি প্রখর হয়। প্রচন্ড কষ্টে হাসে প্রমি। ছেলেটি কি জানে সে অন্ধ?
অন্য দশটা মেয়ের মত প্রমি দৃষ্টিহীন চোখে রঙিন স্বপ্ন বোনে। কিন্তু তার মত অসহায় মেয়ের দিকে কে দুহাত বাড়িয়ে দেবে? হয়তো একদিন তার স্বপ্ন সত্যি হবে, হয়তো গাড়িতে বসা ছেলেটিই একদিন ভীরু ভীরু পায়ে তার কাছে এগিয়ে আসবে। প্রমির হাত দুটো তার নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলবে, তুমি শুধু আমার। প্রমি সেদিন তাকে ফেরাবে না। কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। নিজে যেচে কারও দিকে হাত বাড়াবে না। হতে পারে তার সে যোগ্যতা বিধাতা কেড়ে নিয়েছে। যদি কেউ তার অসহায়ত্বের কথা জেনে তাকে আপন করে পেতে চায় তাহলেই প্রমি তার হবে।
ড্রাইভার রাজা মিয়া ছাড়া পিদিম বলতে গেলে অচল। সব থেকেও যেন তার কিছু নেই। জানালার ধারে দাঁড়ানো মেয়েটির কথা ভেবে আজকাল বুকের বাম পাশটায় কষ্টটা আরও বেড়ে গেছে। ওকে দেখার পর থেকে নতুন করে বাঁচতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তা তো সম্ভব নয়। কোন মেয়ে জেনে শুনে তার মত ছেলেকে হয়তো ভালবাসার আঁচলে জড়াবে না। প্রত্যেক মেয়ের নতুন জীবনে বাড়তি একটা স্বপ্ন থাকে। কিন্তু পিদিম সে স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না। কারণ, পঙ্গুত্বের অভিশাপে সে অভিশপ্ত। আজ কতদিন হয়ে গেল খোলা আকাশের নিচে মুক্ত মাঠে ছোটাছুটি করতে পারে না সে। বিশ্ব বিধাতা তাকে ড্রাইভার রাজা মিয়ার উপর ন্যস্ত করেছেন।
রোজকার মত জানালার ধারে আজও দাঁড়িয়ে আছে প্রমি। কিছুক্ষণ পর পিদিমের গাড়িও এসে থামে। গাড়ি থামার শব্দ পেয়ে প্রচন্ড কষ্টে প্রমি হেসে মুখ নিচু করে আর পিদিমের বুক চিঁড়ে বের হয় হাহাকার করা একটা দীর্ঘশ্বাস।
প্রেম ও প্রেমী
সকাল থেকে জাকিয়ে শীত পড়েছে। এই বিকেল ৩ টা তেও সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। দুপূরে টেলিভিশনে কুছ কুছ হোতা হ্যা ছবিটা দেখেছে আজ ফারিয়া। খুব কান্না পেয়েছিল ওর কাজলের কষ্ট দেখে। আবার এই ভেবে স্বস্তি খুঁজছিল "এমন তো বাস্তবে হয়না!" তবু মনটা কেমন উচাটন হয়েছিল। নীল কে ফোন করে বললো
:তুই কোথায় রে?
:এই তো তোর কাছে!
:উফফ এত দুষ্টামি জানিস তুই! বল না কোথায় আছিস এখন?
:একটু অফিসের কাজে ব্যাংকে এসেছি, মতিঝিল।কেন?
:বিকেলে একবার দেখা করতে পারবি?
:পারব না মানে?তুই না আমার জান?তুই বললে দেখা না করে পারি!
:নিলু আবার!!! মার খাবি বললাম!
:আচ্ছা বাবা, ঠিক চারটে বাজে তোর বাসার সামনেই বান্দা হাজির থাকবে!
ফোন রেখে কেমন শিহরিত হল ফারিয়া। আজ বলবেই সে। গত দুমাস ধরে বারবার ভেবেছে সে, ছল চাতুরী করে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে নীলের থেকে। আপনমনে বারংবার নিজেকে প্রশ্ন করেছে। উত্তর একই!
বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে ফারিয়া। আপন মনে গুনগুন করে গাইছে.......... "সময় যেন কাটেনা........বড় একা একা লাগে.........." বাড়ির সামনে লাগানো বাগানবিলাসটা ডালপালা ছড়িয়ে বারান্দা পর্যন্ত উঠে এসেছে। তার পাতায় হাত বুলাচ্ছিল ফারিয়া। হঠাৎ বাগানবিলাসের একটা কাঁটায় বুড়ো আঙ্গুলের খানিকটা ছিড়ে গেল ওর।"উফফফ! বোকা আমি তো তোদের আদর করছিলাম। হাতটা ছিড়ে দিলি তো? ভালবাসলে বুঝি আঘাত দিতে হয়?"! হেসে ঘরে চলে গেল সে। জামাটা পাল্টে নেয়। নীলের প্রিয় রং আকাশি নীল। তাই সে যতবার ফারিয়াকে জামাকাপড় গিফট করে ঐ রঙেরই করে। আজকেও ওর দেয়া নীলে সাদায় কাজ করা জামা পরলো। তারপর আয়নার সামনে বসলো। আজকে খুব সাজতে ইচ্ছে করছে ওর। চুল গুলো খুলেই রাখে, কপালে সাদা রঙের একটা টিপ। চোখে কাজল পরতে গিয়ে লজ্জা পায় সে। "ইশশ এত সাজলে নীল বুঝে ফেলবে"লজ্জা পায় ও।
আবার বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায় সে। রাস্তায় তাকিয়ে থাকে, এই বুঝি নীল এলো! সামনের বাসার বারান্দায় এক মহিলা কোমরে শাড়ির আঁচল গুজে কি যেন করছে। হঠাৎ হেসে ওঠে ফারিয়া.................
..................................ভীষণ আগোছালো নীল! ওকে নিয়ে একদম পেরে ওঠেনা সে। কোমরে শাড়ি পেঁচিয়ে দু হাতে ঘর গোছায় আর নীল কে বকে যায় "উফফফ, তুমি যে কবে মানুষ হবে!! এভাবে চলেনা। অন্তঃত যেখান থেকে যেটা নাও সেখানে তো সেটা আবার রাখতে পার!""" খিক খিক করে হাসে নীল। "হাসবেনা বলে দিচ্ছি"রাগে ফোঁস ফোঁস করে ফারিয়া "লজ্জা লাগেনা?অগোছালো করে রাখবে আবার দাঁতও দেখাবে!!"" চুপ করে যায় নীল। জানে এবার কথা বলা মানেই ফারিয়া রাগে কেঁদে ফেলবে। তার চেয়ে চুপ থাকাই ভালো। কিছুক্ষন পর নীলই বলে " রিয়া?? আর রাগ করে থেকনা। আড়াই মিনিট হয়ে গেছে! আড়াই মিনিটের বেশি রাগ করে থাকতে নেই" এই একটা ডায়ালগ ১০ বছর ধরে শুনছে ফারিয়া। শুনলেই ও যত রাগই করুক ফিক করে হেসে দেয়!...........................................হঠাৎ নীলের ফোন কলের শব্দে সম্বিত ফিরে পায় ফারিয়া। যাহ এতক্ষন কি সব ভাবছিল সে!!
ফোনটা হাতে নিয়ে নীচে নেমে যায় সে। যাওয়ার সময় মা কে বলে যায় নীলের সাথে বের হচ্ছে সে। জলদি ফিরবে।
:কি রে এমন জরুরী তলব?
:আগে রিকশা নে, তার পর বলছি। ঘন্টা চুক্তি কর। রিকসায় ঘুরব আজ!
:ও কে মহারাণী ভিক্টোওওওওরিয়া
:চুপ শয়তান ভিক্টো-রিয়া না শুধু রিয়া। ওটাই ভালো লাগে শুনতে!
হাসে নীল। রিকশা নেয় ওরা। নীল একটার পর একটা গল্প করেই যাচ্ছে।হঠাৎ নীলের মুখ চেপে ধরে ফারিয়া। নীল কিছুটা অবাক হয়। কাঁপছে ফারিয়া।তারপর চোখ বুঁজে ফেলে। একদমে বলে "আমি তোকে ভালবাসি, মআআ নে তোমাকে ভালবাসি"। এত তড়িঘড়ি করে বলে যেন কেউ বন্দুক মাথায় ঠেকিয়ে ওর কাছে স্বীকারোক্তি আদায় করছে। বলা শেষ করেই হাঁপাতে থাকে। নীল খানিকটা চমকে উঠলো। তারপর চুপসে গেল একদম!
:তুই কি বলছিস এসব রিয়া? পাগল হয়ে গেছিস?
:কেন?
:আমি আসলে, তোকে অনেকদিন ধরে একটা কথা বলি বলি করছিলাম.............মানে.....।
:কি?বল?
:মানে মেয়েটার নাম.......................
কিছুক্ষন চুপচাপ..........
দম ফাটিয়ে হেসে ওঠে ফারিয়া। ওর সে হাসি থামতেই চায়না। আবার হতভম্ব হয় নীল। অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বলে
: শয়তান! এটা শোনার জন্যই তো নাটক করলাম। আরে গাধা রিয়াদ সেদিন তোকে আর এখটা মেয়েকে এক সাথে রিকশায় দেখেছে। আমাকে বলছিল ফোন করে। তাই তো আজ তোকে কেমন মদন বানিয়ে কথা বের করে নিলাম। বল তো কেমন এ্যাক্টিং করলাম?
বলে কলার নাচানোর ভঙ্গি করে ফারিয়া। নীলের ভ্যাবাচ্যাকা ভাব এখনও কাটেনি।
:তুই নাটক করছিলি?সত্যি?
:তা নয়ত কি?তোর মত একটা মফিজকে আমি ভালবাসব?ইয়ায়ায়ায়াক!
স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে নীল। এর পর খুটিয়ে খুটিয়ে নীলের কাছে মেয়ের বায়োডাটা নিল। আরও কিছুক্ষন ঘুরে নীল বাড়ির গেটে নামিয়ে দিল ফারিয়া কে।
ফারিয়া দ্রূত পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে সামনে বাগানটুকু পেরিয়ে। হঠাৎ চোখ গেল কাটা আঙ্গুলটার দিকে। এক ফোঁটা জল গড়ালো চোখ বেয়ে ।আঙ্গুলের দিকে তাকিয়ে থেকেই বললো "ভালবাসলে বুঝি আঘাত দিতে হয়?"""
ভালবাসা যে শুধুই ভালবাসা
বলো!! আর কোন দিন সিগারেট খাবে না!!
-খাব না
অন্য কোন মেয়ের দিকে তাকাবে না!!
-না
প্রমিজ কর আমাকে!
-করলাম!!
এভাবেই স্বপ্না আমাকে বলেছিল সে আমাকে ভালবাসে। স্যরি, আসলে ওর কথায় আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে ও আমাকে ভালবাসে। কখনও ভাবিনি যে কেউ কখনও আমাকে ভালবাসবে। ছোটবেলায় বাংলা সিনেমা দেখে ভাবতাম প্রেমে কত মজা! নায়ক-নায়িকা নেচে-গেয়ে প্রেম নিবেদন করে। আমার কাছে তখন মনে হত প্রেম নিবেদন করতে হলে নাচ জানতে হবে। স্কুলের অনেক মেয়েকেই মনের আয়নায় চুপিচুপি উকি দিয়ে যেতে দেখতাম। কিন্তু বোকা আমি নাচ জানতাম না বলে প্রেমও নিবেদন করতে পারতাম না। যাক সেসব কথা, স্কুল পার করে কলেজে ভর্তি হলাম। পড়া-শুনার চাপে প্রেম-ভালবাসার কথা মাথায় আসত না। যান্ত্রিক জীবনে মনটাও আমার মেশিন হয়ে গিয়েছিল। কলেজ পার করে ভর্তি হলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। নতুন বন্ধু পেলাম কিছু। আনন্দ, নাফি, সুমন, শান্তা, স্বপ্না- বেশ মজা করতাম বন্ধুরা মিলে। একদিন হঠাৎ সুমন প্রস্তাব দিল বাংলা সিনেমা দেখার। বাংলা সিনেমার নাম শুনে নাক সিটকালেও বাকি সবাই দেখলাম বেশ উৎসাহে সায় দিল। আমাদের বাংলা সিনেমাগুলো শিল্পমান হারালেও বিনোদন শিল্পগুণে সেগুলো যে কতটা অনন্য সেটা আমি বুঝতে পারলাম। এরপর দিব্যি করেছিলাম যে মন খারাপ হলেই বাংলা সিনেমা দেখতে যাব। যে সিনেমা রম্যগুণে( হোক টা নিম্নমান ) বোবাকেও হাসাতে পারে সেখানে আমি তো ছাই।
এবার সিনেমার কাহিনীতে আসি। সিনেমার নায়ক আলম খান বুয়েটের স্টুডেন্ট। সে ভ্যানে চড়ে গ্রামে যাচ্ছে বন্ধুর বিয়েতে। রাস্তার পাশে হঠাৎ নায়িকাকে দেখে তাঁর চোখ আটকে যায়। নায়িকা আমগাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। আর ওপর থেকে বৃষ্টির মতো ফুলের পাপড়ি ঝরে পড়তে থাকে নায়িকার শরীরে। আমগাছে থেকেও যে গোলাপের পাপড়ি ঝড়ে সেটা মহান সৃষ্টিকর্তার কতবড় নিয়ামত হতে পারে, আমার এই সিনেমা না দেখলে জানাই হত না! হয়তবা নায়কের চোখের জাদুতে আমগাছ থেকে গোলাপ ঝরতে পারে, সে কার্যকরণ বাদ রেখেই দেখতে থাকলাম। বন্ধুর বিয়েতে গিয়ে আলম নিজের বিয়ের বীজ বুনে এল। বিধাতার কি কৃপা!! স্যরি, বাংলা সিনেমার স্বভাবজাত চমৎকারি হবে এটা- শহরে ফিরে আলম জানতে পারল নায়িকাও বুয়েটের স্টুডেন্ট। এরপর সেই নাচ-গান-প্রেম-মারামারি এবং অবশেষে নায়িকার সাথে নায়কের শুভ মিলন। সিনেমা হল থেকে বের হয়ে স্বপ্নার চোখে কেমন যেন মায়া অনুভব করতে পারলাম। আমার হৃদয়ের অভিশপ্ত আয়নাতে কি স্বপ্না উকি দিয়ে গেল, টের পেলাম না একদমই!!
এরপর অনেকদিন চলে গেল। সময়ের অন্তর্জালে আমিও ভুলে গেলাম সে অসামান্যতায় সামান্য অনুভবের কথা। এর মাঝে একদিন ক্যাম্পাসে সুমন, নাফি, শান্তা কিংবা আনন্দ কারও দেখা পেলাম না। ক্যান্টিনে যাবার সময়ই স্বপ্নার সাথে দেখা। শীতবুড়ির জীর্ণতায় বিবর্ণ শিমুল গাছের নিচে দাড়িয়ে ও আমার দিকেই তাকিয়ে ছিল অপলক। ওর কাছে গিয়ে দাড়াতেই ঝরঝরে এক পশলা বৃষ্টি অনেকটা উড়ে এসে জুরে বসল। দৌড়ে গিয়ে ক্যানটিনের বারান্দায় দাড়ালাম আর মেঘরাজ বিদায় নিল তখনই। সাদা রবির স্নিগ্ধ আলোয় জলে ভেজা শিমুল গাছটিকে যেন মুক্তো জড়ানো কোন অভিমানী পরীর মত লাগছিল। বুঝতে পারছিলাম মনের কোণে লুকিয়ে থাকা অনুভূতির চরকার সূতোয় কে যেন টান দিয়েছে। নইলে শিমুল গাছকে এই জীবনে আমার কখনও পরী মনে হয়নি, আজ কেন মনে হল? স্বপ্নার সাথে সেদিন অনেকক্ষণ গল্প করেছিলাম। বন্ধুর সাথে আড্ডা হয় কিন্তু গল্প হয় না কিংবা আড্ডাটাকে সেদিন গল্প মনে হয়েছিল সুপ্ত অনুভূতির হঠাৎ জাগরণের জন্য। স্বপ্নার প্রতি কেমন যেন একটা হৃদয় নিংড়ানো আবেগ আমাকে বিমোহিত করছিল প্রতিনিয়তই। কিন্তু সেটা ওকে বুঝতে দিতে চাইত না মন কিংবা নাচতে জানি না বলে ছোটবেলার সে যুক্তিহীন ভয়ে জর্জরিত ছিল সে। তবুও স্বপ্না বুঝতে পেরেছিল আমার মনকে। ভালবাসার মানুষের মনের কথা বুঝি বুঝা যায়। আমি সিগারেট খেতাম, সুন্দরী মেয়ে দেখলেই তাকাতাম শুধু কিউরিসিটির জন্যই কিংবা অলস মন এসব অকাজেই মজা খুজে পেত। তাই স্বপ্না যেদিন আমাকে প্রমিজ করালো সেদিনই আমি নিশ্চিৎ হলাম ও আমাকে ভালবাসে।
আজ বারই জানুয়ারি। চার বছর আগের ঠিক এই দিনেই ওকে আমি প্রপোজ করেছিলাম। প্রপোজ করার কূটবুদ্ধিটা মাথায় এসেছিল অনেকটা হঠাৎ করেই। সেদিন ছিল হরতাল। ভার্সিটি যাওয়া হয়নি। স্বপ্নাকে ফোনে বলে দিলাম বিকালে দেখা করব। এর আগে কখনও আমরা দুই জন একাকী দেখা করিনি, তাই স্বপ্না হয়ত কিছুটা হলেও আন্তাজ করতে পেরেছিল আমি কেন ওকে ডাকলাম। একটু তাড়াতাড়িই বের হলাম, কারণ ফুল কিনতে হবে। কিন্তু নাহ… বেশিরভাগ ফুলের দোকান বন্ধ! আধখোলা কয়েকটা ফুলের দোকান ঘুরেও মনের মত ফুল পেলাম না। রাস্তায় ফুল হাতে ছুটে আসা পিচ্চি টোকাইও সেদিন ফুলের সন্ধান দিতে পারেনি। সারা দুপুর সব দোকান তন্ন তন্ন করে ফেলেও কিছু পেলাম না। অবশেষে পথে চলতে চলতেই দেখলাম একটি পথশিশু কয়েকটা কাঠগোলাপ ছিড়ে ছিড়ে পথে ফেলছে। দৌড়ে গেলাম ছেলেটার কাছে। কিন্তু ওর হাতে অবশিষ্ট ছিল একটা আধা ছেড়া ফুল। জিজ্ঞাসা করলাম, ফুলগাছ কোথায়? প্রত্তুতরে ছেলেটা জানাল, "সামনেই" ছেলেটাকে সাথে নিয়েই খুঁজে বের করলো কাঠগোলাপ গাছ। প্রস্ফুটিত কিছু ফুল দেখে অনেক খুশি হয়েছিলাম তখন।
এরপর শুরু হল আসল পরীক্ষা। গাছে উঠতে পারিনা আমি। আশেপাশে তেমন কাউকে পেলাম না। কিন্তু ফুল তো আমার লাগবেই। ঈশ্বরের নাম জপে কোনরকমে বহু কসরত করে কিছুদূর উঠলাম। হাতের নাগালেই বেশ কয়েকটা ফুল পেয়ে সেগুলো বুটিয়ে নিলাম। ফুলগুলো একত্র করে শুরু করলাম আবার পথচলা। এভাবেই পৌঁছলাম গন্তব্যে। তখন সন্ধ্যা। কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলাম না কিভাবে দিবে ফুলগুলো ওকে। ততক্ষণে ফুলগুলো অনেকটা মিইয়ে গেছে। আর দেরি না করে মন মানুষটিকে ডাক দিয়ে হাতে ধরিয়ে দিলাম ফুলগুলো। কিভাবে দিতে হয় আমি বুঝিনি। অসার মস্তিষ্কের পাগলামির এই অঘোষিত প্রচেষ্টা পরিণতি পেল। স্বপ্নার মুখে এক ঝলক হাসির দেখা পেলাম। স্বপ্না বলল, “আমাকে কেউ কখনও কাঠগোলাপ দেয়নি” আমার মনে ভালবাসার অনুভবগুলো সে অভিশপ্ত আয়নাকে ভেংগে দিয়ে দিয়ে সজোরে বয়ে গেল। মনে হল, তাকে পেয়েছি, আর কিছু চাইনা জীবনে। নাচতে না পারার লজ্জা ভুলে সেদিন বলেই দিয়েছিলাম ভালবাসি। স্বপ্না শুধু মিটিমিটি হেসেছিল, কোন কথা বলেনি। দুপুর-বিকালের "সার্চ-দ্য খোজ ফর কাঠগোলাপ" অভিযানের সমাপ্তি ঘটিয়ে এক সুখী মানুষের তৃপ্ত হৃদয় নিয়ে ঘরে ফিরলাম।
সেদিনের পর থেকে আমরা দু’জন একসাথে কত ঘুরেছি শহরময়। কখনওবা সবার চোখ ফাকি দিয়ে হারিয়ে যেতাম নির্জন সবুজের মায়ায়। আমার কর্কশ কন্ঠে বনলতার অসামান্য কবিতাগুলো তাকে আবৃত্তি করে শুনানোর পালা শুরু হয়ে আর শেষ হতেই চাইত না। কিংবা শরতের বিকেলে আমরা দু’জন হারিয়ে যেতাম নীল আকাশ আর সাদা কাশফুলের অরণ্যে। স্বপ্নাই প্রথম আমাকে বৃষ্টির রুপ দেখিয়েছিল। বৃষ্টিতে আমার ভিজতে না চাওয়া, ওর ভিজতে চাওয়ায় ইচ্ছার কাছে বাধভাংগা স্রোতের মতই ভেসে যেত। কোকিলের কালোয় কি পরিমাণ সৌন্দর্য লেগে আছে সেটা আমি তাকে ভালোবাসার পরই প্রথম দেখেছিলাম। তার ভালোবাসার স্পর্শে পেয়ে আমার বিমুদ্ধ নয়ন পৃথিবীর সব রং দেখতে পেল। কিন্তু স্বপ্নের সব রং ধীরে ধীরে ক্ষসে পড়তে লাগল। দীর্ঘ তিন বছরের সম্পর্ক এক সময় কেন যেন উপেক্ষা করতে লাগলাম। স্বপ্নার ফোনও আমার নিকট বিরক্তির কারণ হয়ে দাড়ালো। কোন এক অজ্ঞাত কারণে তাকে আমার অসহ্য লাগতে লাগল। আর আমার উপেক্ষাকে সে আপন করে আমাকে পর করে দিল।
এখন বৃষ্টি হলে আমি কাদি তাকে মনে করে। বৃষ্টি এখন আর আমাকে টানে না ভেজার জন্য। শরতের সুনীল আকাশ ও কাশফুল আমার কাছে মনে হয় জড়। কোকিলের কালোর স্নিগ্ধতা মনে হয় বিবর্ণ। শুনেছি আমার সাথে সম্পকচ্ছেদের কিছুদিন পরই সে নিজের ইচ্ছাতেই বিয়ে করেছে। অবশ্যই ভাল করেছে। তবুও শীতের এই রাতে তাকে নিয়ে অথবা আমাদের জীবনের ঝরে পড়া গল্পটি লিখছি কেন জানি না। হয়তো আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আমার অপেক্ষা এখনও সেদিনের, যেদিন সে ফিরে আসবে আবার। তারপর ঝুম বৃষ্টিতে আমার হাত ধরে মিলিয়ে দেবে শত উপেক্ষা। কোকিলের ডানায় ভর করে আমরা উড়ে বেড়াবো শরতের আকাশে। জানি, আমি এমন এক অপেক্ষায় যার কোন শেষ নেই। তবু অবুঝ মন অপেক্ষা করে যায় অণুক্ষণ..........
বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১২
প্রথম চোদলাম-ভাবীকে
যখন আমার মাঝে যৌবন আসল আমি বুঝতে পারি নি। কারণ আমার কোন বন্ধু বান্ধব ছিলনা। বাড়ীর চার দেয়ালের মাঝেই বসবাস করতাম। ডাক্তারে বলেছিল আমার শারীরিক সমস্যার কারণে যৌবন দেরিতে আসতে পারে পরে জানতে পারি। বয়স ১৮ চলছে আরকি? যাই হোক, আমি সেসময় বুঝতাম না শারিরিক সম্পর্ক আসলে কি? আমার এখনো ষ্পষ্ট মনে আছে, প্রথম বড় ভাইয়ের কম্পিউটারে একটা ছোট্ট ভিডিও কিপ দেখেছিলাম? দেখ লাম এক মেয়ের অন্য একটা ছেলের পেনিস (ধন) টাকে নিয়ে একবার চুষছে, আমার মাঝে মাঝে হাত দিয়ে জোরে জোরে হ্যাডল মারছে। পরে ধন থেকে ছিঁটে ছিঁটে কি যেন বেড়ল। এই সিনটা দেখার পর আমি অনেকটা উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলাম। কেন এরকম হলো বুঝতে পারলাম না। ছ্টো কাল থেকেই আমি রাতে আলাদা ঘরে থাকি? রাতে সিটার কথা চিন্তা করতে করতে আমার লাঠিটা (ধন) জিনিসটা খাঁড়া হয়ে উঠল, মনে হয় প্যাট ছিঁড়ে বের হয়ে আসবে। নিজের অজান্তে আমি হাত দিয়ে খেঁচতে লাগলাম। খুব মজা পাচ্ছিলাম। তারপর আমার বালিশটাকে জড়িয়ে ধরে দেখি তাও খুব ভালো লাগছে,বালিশটার উপরই ধনটাকে ঘুষতে লাগলাম। খুব ভালো লাগছিল আরো জোরে জোরে ঘোষছিলাম এক পর্যায়ে আমার ধনটার কি যেন বেরিয়ে আসতে চাইছিল আমি সামলাতে পারছিলাম না। মনে মনে ভয় পেলাম পেসাব করে দিলাম না তো। ভয়ে ভয়ে উঠে দেখি, আমার দেখা ভিডিও সিনটার মতো আমার নুনু দিয়ে কিছু বেড়িয়েছে। খুব মজাও পেলাম। একটা অজানা আতঙ্কের মধ্যে, আমি সবকিছু পরিষ্কার করে ঘুমিয়ে পড়ি? যাইহোক মূল গল্পে আসার যাক, আমার পরিবারে আমারা ৫জন সদস্য বড়ভাই আমার তিন বছরের বড়? কিন্তু বিবাহিত ভাবি কে দিয়ে মোট ৫জন । তখন ভাইয়ের বিয়ের মাত্র সাতমাস হয়েছে। বিয়ের তিনমাস পর কোরিয়া চলেযায়। ভাবির বয়স মাত্র ১৮। কিছু দিনেই আমাদের মাঝে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আমাকে ভাবি সবসময় বলতো যে তুমি আসলেই খুব বোকা। যাইহোক রাতের ঘটনার পর সকালে ঘুম থেকে উঠতে আমার দেরি হয়। ভাবি আমার রুমে উঠাতে যেয়ে বালিলে রাতের কু-কাজ করার দাগ দেখতে পায়। ভাবি আমার সাথে খুব ফ্রি ছিলো কিন্তু কোন দিন সেক্স কিং মেয়েলি ব্যাপারে কিছু বলতো হয়তো জানতো আমার ব্যাপারে, আমার সমস্যার ব্যাপারে সবাই জানতো কিন্তু আমি জানতাম না। ভাবি আমার দিকে মিষ্টি করে তাকিয়ে হাসি দিল। তারপর পিটে হাত দিয়ে বলল উঠ তাড়াতাড়ি খাবে চল? আব্বা আম্মা বাইরে গেছে। আমাকে না বলেই ১সম্পাহের জন্য চট্টগ্রাম চলে গেছে। হঠাৎ নানির শরীর খারাপ হওয়ায়। ব্রাশ করে ভাবির সাথে খেতে বসলাম। কিন্তু ভাবি আমার আমার দিকে মিষ্টি করে তাকিয়ে আগের মতো হাসছে। আমি ভাবির মতি গতি কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ভাবি তুমি হাসছো কেন? তুমি বুঝবে না উত্তর দিল। আমারতো কৌতুহল বাড়তে থাকলো। আসলো কি ব্যাপার? আমি ভাবিকে তেল মারতে থাকলাম এই সেই বলে। কিছুক্ষণ পর ভাবি হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করল “কাল রাতে কি হয়েছিল” কাল রাতে মানে কই কিছু তো হয়নি? জেনে গেল নাকি আমি মনে মনে চিন্তা করলাম। দেখো আমার কাছে লুকিয়ে লাভ নেই আমি বুঝতে পেরেছি, কি বুঝতে পেরেছো, তুমি বড় হয়ে গেছো। সুমন? তাই ভাবিব কাছে লুকিয়ে কোন লাভ নেই, হয়তো কোন সময় তোমার ভাবির সাহায্য লাগতে পারে। আমি বললাম ঠিক আছে আমি তোমাকে সব বলছি। তবে কাউকে বলতে পারবা না। তারপর আমি উপরের সব ঘটনা বললাম। ভাবি আমাকে বোঝালো সবকিছু ভদ্রভাষায়। আমিও মনোযোগী ছাত্রের মতো সব কিছু শনলাম। আমি লক্ষ্য করছিলাম এগুলো বলার পর থেকে ভাবি আমার খুব কাছাকাছি আরো বেশি বন্ধুর মতো হয়ে গেল। কিছু আচারনেও পরিবর্তন দেখলাম। বাসায় আমরা দুইজন একটা ছিলাম, যদিও আমাদের বাড়ি খবু বেশী বড় ছিলনা। তবে মধ্যবিত্ত ফ্যামেলীর জন্য যথেষ্ট বড় ছিল। রাতে খাওয়ার পড় ভাবি বলল আমার কেন জানি আজ ভয় ভয় লাগছে। তুমি আমার রুমে চলে আসো, আজতো বাসায় কেউ নেই কোন সমস্যা হবে না। আমরা দুজনে মজা করে গল্প করবো? আমিও আপত্তি করলাম না। কারণ ভাবির সঙ্গ আমারও খুব ভালো লাগে। আমরা দুজনেই সমবয়সী। ভালোই সময় যায়। আমরা দুজন মজা করে সাতদিন সময় পার করলাম। বাসায় আব্বা আম্মা আসাল। সাতদিনে ভাবি আমাকে সবকিছু শিকিয়ে ফেলেছে দক্ষ শিক্ষকের মতো। আমাদের আচারণ আগের থেকে অনেক পাল্টেগেল। যেমুন ইয়ার্কি করা বেশি হতে লাগলো। শরীরের হাত দেওয়া উর্না কেড়ে নেওয়া দুজন দুজনকে চিমটি দেওয়া ইত্যাদি। আমার মা এজিনিস গুলো লক্ষ্য করতো। তবে কোন দিন কিছু বলেনি। কারণ ভাবিকে ভাইয়া মেনে নেয়নি। ভাবি আমাকে বলেছিল ওরা দুজন দজনের বিছানার সম্পর্ক কখনো তৈরি হয়নি। তাই ভাবি সবসময় অন্যরকম হয়ে থাকতো। আমার সঙ্গে হাসি মজা করতো আবার চুপ হয়ে যেত। কিন্তু ইদানিং ভাবী মখে সবসময় হাসি থাকতো। এগুলো আম্মাও লক্ষ্য করেছে আমি বুঝতে পালাম। আমি বিকেলে ঘুমিয়ে আছি, আসলে ঠিক ঘুমাইনি চোখ বন্ধ করেছিলাম। আম্মা আর ভাবি কথা বলছে আমার কানে ভেসে আসছে। আম্মার বলল “দেখ নদী(ভাবির নাম) আমি জানি আমরা তোর উপর অন্যায় করেছি। তোর এই বয়সে কি চাওয়া আমি বুঝি? কিন্তু তোকে আমরা মেয়ের মতো ভালোবাসি”, হ্যাঁ তার চেয়ে হয়তো বেশী ভালোবাসেন আম্মা, কিন্তু কি হয়েছে বলেন,আমিও তো আপনার উপরো কোনদিন অভিযোগ করিনি?ওর উপর আমার রাগ নেই। আমি আসলে বলতে চাইছিলাম যে তুই,“ তোর আর সুমনের ব্যাপারে তুই চাইলে যা ইচ্ছা হয় তোরা দুইজনে করতে পারিস, তোর শুশুর আমার কোন আপত্তি নেই,সমনও এখন সাবালো হযে উঠেছে” রুমন কখনো আর হয়তো দেশে আসবে না, সেদিন বলছিল তোকে ডির্ভোস লেটার পাঠিয়ে দেবে। এতটুকু ওরকাছ থেকে আশা করিনি,ওকে মানুষ করতে পালামনা। ওকে জানিয়ে দিয়েছি যে, সে আমারদের পালিত সন্তান। তাই এই নিয়ে মা কখনো দুঃখ করিস না, আমরা আছি না। তুই চাইলে তোর হাতে সুমনকে তুলে দিতে রাজি আছি, যদি তুই চাস? কারণ দুইজনের ভালো সময় কাটে আমি লক্ষ্য করেছি। ভাবী উত্তরে বললে আপনার সিন্ধান্তে আমার কোন আপত্তি নেই, তবে আম্মা আমার সময় চাই,তাছাড়া আমি সুমনের জীবনটা কেন নষ্ট করবো এবলে উঠে গেল? ভাবি কে আমি কোনদিন অন্য চোখে দেখিনি কিন্তু একথা গুলো শোনার পর উনাকে নিয়ে আমি ভাবতে লাগলাম। ভাবির বয়স ১৮ চলছে আমার ২সপ্তাহ আগে পার হয়েছে। হাইট ৫ফিট ৪ ইঞ্চি। ফর্সা সি ম বুকের আপেল দুইটাই ৩২ সাইজ ব্রা লাগে। বাধানো বডি। শরীরের প্রতি অঙ্গে সেক্সে ভরপুর। পূর্ন যৌবনবতী। আমি মনে মনে চিন্তা খারাপ হবে না আমার জন্য। আমাকে খুব সুখী রাখবে। এর তিন মাস পরের ঘটনা হঠাৎ একদিন বিকেলে খবর এলো যে নানী মারা গেছে। আব্বা আম্মা ছুটলো চট্টগ্রাম। আমাকে আর ভাবীকে রেখে গেল। নানী মারা যাওয়ার এফেক্ট আমাদের দুজনের মাঝে খুব পড়েনি? খাওয়ার পর দুজনে গল্প করছিলাম। ভাবি বলল যে মভি দেখবো। কিন্তু আমার কাছে তো কোন মভি নেই । আমাকে টাকাদিল দুইটা ভালো রোমান্টিক ভাবি আনাতে। এগুলোতে আমি ছিলাম একেবারে অজ্ঞ। তাই আমার ক্লাশ মেইট এর দোকানে গিয়ে নিয়ে এলাম। দেখতে বসেছি বিছানাই এক K¤^‡jB দুইজন শুয়ে শুয়ে আছি আর বিভিন্ন ধরনের গল্প করছিলাম। ভাবী হঠাৎ ছবির রোমান্টিক সীন নায়ক নায়িকার চেপে ধরা দেখে বলল সুমন তোমার কি মেয়ে মানুষের সাথে মিশতে ইচ্ছে করে না, না এর মধ্যে ২নং কাজ করে ফেলেছো? আমি বললাম আমি পুরুষ মানুষ না। ইচ্ছে তো করতেই পারে,তবে কার সাথে জানো তোমার সাথে, ভাবী বলল এই ফাজিল কি বললি? কত বড় হয়েছে যে আমাকে….। দেখবে নাকি আমি বললাম। সেই মাজায় একটা চিমঠি দিলাম,আর আ্মার পায়ের সাথে নদীর পা জড়িড়ে রাখলাম? কানে কানে বললাম আমার ভদ্র জিনিসটা কিন্তু জেগে উঠে লাগলে বল? তুই খুব ফাজিল হয়ে যাচ্ছিস কিন্তু!! আমরা মাঝে মাঝে তুই করে কথা বলতাম। আমি বললাম তুমি তো বানিয়েছো? ফাজলামু রাখ উঠে ডিক্স শেষ পাল্টা তাড়াতাড়ি। : এখুনো বল !!! : বদমায়েস কোথাকার: মাঝে আমারা তুই করে কথা বলতাম। ছবি পাল্টিয়ে দিয়ে বিছানাই কম্পল মুড়ি দিয়ে দুজন পাশাপাশি এসে বসেছি। আমি বললাম -তোর কি সত্যিই পুরুষ মানুষ পেতে ইচ্ছে করে না। : করে কিন্তু …………. ? সব মেয়ের পুরুষের আদর পেতে চাই, যে পাই না তার কষ্ট তুই বুঝবি নারে? এমুন সময় ফ্লিম বাবাজির মাঝে ক্যাটপিসের আর্ভিবাব। : এই হারামজাদা কি এনেছিস দেখে আনতে পারিস নি। আমি বললাম তুই দেখবি কিনা বল? আর আমি তো জানি না যে এর ভিতর এগুলো ছিল। আমার সমস্যা হবে না, তোমার হলে বন্ধ করে দাও। পরে বললাম আয় না একসাথে দেখি মজা করি। আমি জানি তোর কষ্ট আমি বুঝিরে আমি ছাড়া কে বুঝতে পারবে। তবে আজ তোকে একটা কথা বলি আমি তোকে চায়? মনের অজান্তে তোকে আমার ভালো লাগতে লেগেছে। মা-বাবারও কোন আপত্তি নেই আমি জানি। তুই আ্মাকে বিয়ে করে ফেল। আমি তোকে কোন দিন কষ্ট দেব না খুব সুখেরাখার চেষ্টা করবো। নদী তো আমার দিকে ফ্যাল করে চেয়ে তাকলো। : আমি জানি তোরও খুব একটা আপত্তি নেই। তুই কেন মা-বাবাকে হ্যাঁ বলছিস না। : দেখ সুমন আমার কিছু সমস্যা আছে, আমি তোর জীবনটা তো নষ্ট করতে পারি না।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)